সারাদেশে'র ন্যায় (ঢাকা বিভাগ ব্যাতিত) সিলেটের সদর উপজেলায় এইচপিভি টিকাদান(জরায়ুমুখের ক্যানসার ভ্যাকসিন) কর্মসূচী চলমান রয়েছে। উপজেলার প্রায় ১৪ হাজার স্কুল-মাদ্রাসা পড়ুয়া কিশোরী (১০-১৪ বছর) এ টিকা গ্রহণ করবেন বলে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করা হচ্ছে। আজ ২৪/১০/২৪ইং উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সিলেট ক্যাডেট কলেজ ক্যাম্পাস উচ্চ বিদ্যালয়ে টিকাদান কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করেন ডাঃ মোঃ আনিসুর রহমান,সিলেট বিভাগীয় (স্বাস্থ্য) পরিচালক ,সিলেট বিভাগ,সিলেট মহোদয় এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মনিসর চৌধুরী,সিভিল সার্জন,সিলেট মহোদয়। শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে ডাঃ আহমদ সিরাজুম মুনীর,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা,সিলেট সদর,সিলেট। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক,পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক , সহ সদর উপজেলার দায়িত্বশীল ও স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ। উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে দেখা যায়,প্রায় ২৫৭জন কিশোরী জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধ'র এইচপিভি টিকা নিয়েছেন। আগামী দিন রেজিষ্ট্রেশনকৃত আরো অনেক কিশোরী টিকা নিবেন বলে বলা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য অফিস সিলেট সদর,সিলেট'র প্রধান ডা. আহমদ সিরাজুম মুনীর বলেন, ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় উপজেলার সবক'টি কেন্দ্রে HPV (Human Papiloma Virus) টিকা কিশোরীরা গ্রহন করছেন।এতে করে ভবিষ্যতে জরায়ু মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে খুব কাজে দিবে বলে অভিপ্নরায় ব্যক্ত করেন। বর্তমানে প্রতিবছর বাংলাদেশে জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রায় ৫ হাজার নারী। দেশে নারীদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্যানসার এটি। এইচপিভি জীবাণু শরীরে প্রবেশের পর এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৫ বছর। আক্রান্ত রোগীদের প্রায় সবাই শনাক্ত হন একদম শেষ সময়ে গিয়ে। তখন আর সেরে ওঠার উপায় থাকে না। কিন্তু, কিশোরী বয়সে মাত্র একটি টিকা নিয়ে সারা জীবনের জন্য এই ক্যানসার থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব।
এ সময় সিলেট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা টিকা প্রদানকারী ও স্বেচ্ছাসেবীদের খুব সূক্ষ্ম ভাবে কাজ করার পরামর্শও প্রদান করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস