Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সিলেট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের মাধ্যমে সাধারণত মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম তদারকি করা হয়। একনজরে ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের স্বাস্থ্য সেবার কিছু পরিসংখ্যান

সিলেট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের মাধ্যমে সাধারণত মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম তদারকি করা হয়। একনজরে ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের স্বাস্থ্য সেবার কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো –  

  • শিশুমৃত্যু রোধ করার লক্ষ্যে আমাদের অন্যতম প্রধান কাজ হলো বাড়ি বাড়ি গিয়ে ০-১১ মাস বয়সী সকল শিশুদের ১০ টি রোগের বিরুদ্ধে ইপিআই এর ৬ টি টিকা প্রদান করা। ২০২৪ সালে আমার সদর উপজেলার বিসিজি টিকার কাভারেজ ৯৪.৬৫%; পেন্টাভ্যালেন্টঃ ১ম ডোজ – ৯৪.০৮%, ২য় ডোজ – ৯৪.৮৭%, ৩য় ডোজ – ৮৫.৫৭%; পিসিভিঃ ১ম ডোজ – ৯৫.৪২%, ২য় ডোজ – ৯১%, ৩য় ডোজ – ৮৬.০৮%; ওপিভিঃ ১ম ডোজ – ৮৭.৯০%, ২য় ডোজ – ৭৯.০৭%, ৩য় ডোজ – ৭০.৯৫%; আইপিভিঃ ১ম ডোজ – ৯২.২৯%, ২য় ডোজ – ৯১.৬০%, ৩য় ডোজ – ৯৫.৮১%; এম.আরঃ ১ম ডোজ – ৯৫.৮১%, ২য় ডোজ – ৯৪.২৬।
  • ২০২০ সালের মার্চ মাসের শুরুতে বাংলাদেশে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশেও লক ডাউন শুরু হয়। এই সময়েও আমার স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্যাম্পুল কালেকশন থেকে শুরু করে পরবর্তীতে তাদের টিকা প্রদান করা হয়। আমার সীমিত জনবল নিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এবং সদর উপজেলার প্রায় ৩১৫৯২৭ জনকে কোভিড ভ্যাক্সিন প্রদান করি। সিলেট সদর উপজেলায় কোভিড – ১৯ এর ১ম ডোজ – ৭২%, ২য় ডোজ – ৯৮%, ৩য় ডোজ – ৬৫% এবং ৪র্থ ডোজ – ২৫% প্রদান করা হয়।
  • মহিলাদের জরায়ুর মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে অতি সম্প্রতি ২০২৪ সালে সারা বাংলাদেশের ন্যায় সিলেট সদর উপজেলাতেও ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণির সকল মেয়েদের এবং স্কুল বহির্ভুত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী সকল মেয়েদের এক ডোজ এইচ পি ভি ভ্যাক্সিন প্রদান করা হয়। ২৫৬ টি মাধ্যমিক স্কুলের লক্ষমাত্রা ছিল ১৪৩৩৩ জন ছাত্রী। অর্জন হয়েছে প্রায় ১২৯৪৯ (৯০.৩৪%)।
  • ধনুষ্টংকার রোগে নবজাতক এবং মাতৃমৃত্যু প্রতিরোধে ১৫-৪৯ বছর বয়সী সকল সন্তান ধারণক্ষম নারীদের ৫ ডোজ টিটি ভ্যাক্সিন প্রদান করা হয়। ২০২৪ সালে সিলেট সদর উপজেলার টিটি ভ্যাক্সিন কাভারেজ ছিল এর ১ম ডোজ – ৯০.৩১%, ২য় ডোজ – ৯২.২৭%, ৩য় ডোজ – ৯৪.০৮%, ৪র্থ ডোজ – ৯১.৬১% এবং ৫ম ডোজ – ৯৬.৩৭%।
  • শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধে এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদানের লক্ষে সরকার প্রতি বছর ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন করে। সিলেট সদর উপজেলার ৬-১২ মাসের শিশুদের লক্ষমাত্রা ৪৪৫৯ জন এবং অর্জন হয়েছে ৪৪১৪ (৯৯%) জন এবং ১২-৫৯ মাসের শিশুদের লক্ষমাত্রা ৪১৮০৪ জন এবং অর্জন হয়েছে ৪০৯৬৭ (৯৮%) জন।
  • কোভিড - ১৯ এবং মাঙ্কি পক্স প্রতিরোধে প্রবাসী যাত্রীদের স্ক্রিনিং কার্যক্রম ২০২০ সাল থেকে অদ্যাবধি সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে চালু আছে। ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আনুমানিক ৪৮৭৬৫০ জন প্রবাসী যাত্রীদের স্ক্রিনিং কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
  • সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি বছর দুবার ৫-১৬ বছর বয়সী সকল শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করানো হয়। প্রতিবছর প্রতি রাউন্ডেই লক্ষমাত্রার শতভাগ শিশুকেই এই ঔষধ খাওয়ানো হয়।
  • তাছাড়া উপজেলার সকল জনগনকে যক্ষা, কুষ্ঠ রোগের এবং প্রতিবন্ধীদের নিয়মিত সেবা প্রদান করা হচ্ছে।      
  • সর্বশেষ ২১/০৪/২০২৫ইং সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে জুলাই-আগষ্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের জন্য ইস্যুকৃত ১৬ জনকে হেলথ কার্ড প্রদান করা হয়।

সীমিত সংখ্যক জনবল নিয়ে সিলেট সদর উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আহমদ সিরাজুম মুনীর মহোদয়ের নেতৃত্বে সিলেট সদর উপজেলার আনুমানিক ৩১৭১৮০ জন জনগণকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। তাছাড়া সদর উপজেলায় বর্তমানে ৭ টি ইউনিয়নে ২১ টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও সিলেট সদর উপজেলার জনগণকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।